কালো দরজা – পর্ব ৪: সাত নম্বর ঘর

🚪 কালো দরজা – পর্ব ৪
সাত নম্বর ঘর

গ্রামে নিমতলা কুঠি সম্পর্কে একটা গোপন কথা চালু ছিল – পুরো বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একটি ঘর ছিল — ঘর নম্বর ৭

শোনা যায়, এক কালোজাদুকর মারা যাওয়ার পর তাকে কবর দেওয়া হয়নি। বরং তাকে ঘরের মধ্যেই তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।

🕯️ অনুসন্ধান শুরু

রাফির ভাই নাহিদ, স্থানীয় ইতিহাসবিদ জয়নাল আর ইউটিউবার রায়হান মিলে ঘরটি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। দরজার গায়ে লেখা ছিল রক্তের মতো লাল কালি দিয়ে:
"ঘরটা ঘুমায় না... জাগালে ফিরে পাবে না!"

তারা তালা ভাঙলো। দরজা খুলতেই এক ঠান্ডা হাওয়া ছুটে এল। ঘরের ভেতরে দেয়ালজুড়ে ছিল অদ্ভুত কালো মন্ত্র লেখা, আর মেঝেতে আঁকা এক বৃত্তের মাঝখানে রাখা একটা খুলিসহ চেয়ার

😱 জেগে উঠলো কিছু

হঠাৎ জানালা বন্ধ হয়ে গেল। দরজা নিজে থেকে বন্ধ হয়ে গেল। অন্ধকার থেকে উঠলো এক ছায়ামূর্তি — তার চোখ থেকে আগুন জ্বলছে, আর কণ্ঠে এক গর্জন:
“তোমরা জাগিয়ে দিয়েছো… এখন কেউ ফিরতে পারবে না…”

জয়নাল অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। রায়হান দেখলো আয়নায় তার মুখ উল্টো হয়ে গেছে। নাহিদ দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু তখনই দেয়ালে নতুন রক্তের লেখা:
“তোমরা চারজন ঢুকেছিলে… এখন মাত্র একজন বের হবে…”

🧠 কে বাঁচলো?

সকাল বেলা গ্রামবাসী এসে দেখতে পেল — এক কোণে বসে আছে নাহিদ। চোখ ফাঁকা, মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই। কেউ জিজ্ঞেস করলে, সে শুধু বলে:
“আমি না… আমি তো আসিনি… ওরা আমাকে করে দিয়েছে…”

🔚 ঘর এখন খুলে গেছে...

সাত নম্বর ঘর এখন খোলা। কিন্তু কেউ জানে না — আবার কখন, কাকে ডাকবে সেটা… তুমি কি কখনো সেই ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ