🩸 কালো দরজা – পর্ব ২
অভিশপ্ত ক্যামেরা
রাফি আর শাওন নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ কেটে গেছে। ঢাকায় রাফির ছোট ভাই নাহিদ ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেছে। কিন্তু সবথেকে ভয়ঙ্কর ব্যাপার — রাফির ইউটিউব চ্যানেলে এখনো প্রতিদিন রাত ৩টায় নতুন ভিডিও আপলোড হচ্ছে!
ভিডিওতে অদ্ভুত দৃশ্য: কখনো অন্ধকার ঘরে কারো আর্তনাদ, কখনো দরজার ফিসফাস, আবার কখনো শুধু একটা অন্ধকার হল ঘর — যার শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে আছে এক ছায়ামূর্তি…
🔍 অনুসন্ধান শুরু
নাহিদ ঠিক করলো ভাইকে খুঁজবে। সঙ্গে নিল দুই বন্ধু — ইমরান ও তানভীর। তারা পৌঁছে গেল সেই berano "নিমতলা কুঠি"। সেখানে এখনো পড়ে আছে রাফির ফেলে যাওয়া ক্যামেরা। অবাক করে, সেটা তখনো চালু!
নাহিদ ক্যামেরা অন করতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠলো এক বার্তা: “তুই দেখলি… এখন তোর পালা…”
📷 ক্যামেরার অভিশাপ
হঠাৎ ক্যামেরা নিজে থেকেই রেকর্ডিং শুরু করলো। চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল। বাতাস থেমে গেল।
তানভীর হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। চোখ খুলে সে দেখে—
সে আছে একটা অচেনা ঘরে। দেয়ালে খোদাই করা লিখা:
“দরজা খুলেছিস, তাই ফেরার পথ নেই...”
ওদিকে নাহিদের চোখের সামনে ইমরানের ছায়া মিলিয়ে গেল। ক্যামেরার লেন্সে হঠাৎ রাফির মুখ দেখা গেল — বিকৃত, চোখে আগুন, আর কণ্ঠে একটাই কথা… “তুই আসবি... এইবার তুইও থাকবি আমাদের সাথে...”
🔚 শেষ না... শুরু
পরদিন সকালে গ্রামের লোকজন শুধু দেখতে পেল, কুঠির বাইরে পড়ে আছে একটা ভাঙা ক্যামেরা। ক্যামেরার মেমোরি কার্ডে শেষ ভিডিও — তানভীরের গলা চিৎকারে ভরা…
কালো দরজা আবার বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এই গল্পের শেষ হয়নি…
পরের পর্ব: “আয়নার মানুষ”

0 মন্তব্যসমূহ